Bengal Terracotta: The Upcoming Future & Unknown Facts: আগামীর ভবিষ্যৎ ও অজানা তথ্য
Published on: November 5, 2024
By: Bangabasi India
Views: 99
🏛 টেরাকোটার ইতিহাসের ঝলক
বিষ্ণুপুরের মল্লরাজাদের আমলে টেরাকোটা তার স্বর্ণযুগে পৌঁছায়। আজও বিষ্ণুপুরের মন্দিরের গায়ে খোদাই করা মাটির ফলক আমাদের অতীতের কাহিনি শোনায়। কিন্তু মন্দিরের বাইরেও টেরাকোটা জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য, পুতুল, অলঙ্কার ও গৃহসজ্জার মাধ্যমে বাঙালির জীবনে জায়গা করে নিয়েছে।
আধুনিক সময়ে টেরাকোটার ব্যবহার নতুন মাত্রা পেতে চলেছে—
-
ইকো-ফ্রেন্ডলি প্রোডাক্টস – প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে টেরাকোটা বোতল, কুকওয়্যার ও প্ল্যান্টার।
-
আন্তর্জাতিক বাজার – ইউরোপ ও আমেরিকায় হাতে তৈরি টেরাকোটা জুয়েলারি ও ডেকোরের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
-
আধুনিক আর্কিটেকচার – টেরাকোটা টাইলস ও ওয়াল প্যানেল দিয়ে টেকসই স্থাপত্য নির্মাণ।
-
ডিজিটাল প্রোমোশন – ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বাংলার কারিগররা সরাসরি বিশ্ববাজারের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন।
-
বাংলার টেরাকোটাকে অনেক সময় “Poor Man’s Sculpture” বলা হয়, কারণ সাধারণ মাটিই এর প্রধান উপাদান।
-
টেরাকোটা রঙের উষ্ণতা বাড়ির ভেতর প্রাকৃতিক কুলিং ইফেক্ট দেয়।
-
প্রতি বছর প্রায় ৫০,০০০ গ্রামীণ পরিবার বাংলায় টেরাকোটা কারুশিল্পের উপর নির্ভরশীল।
-
টেরাকোটা শিল্পীরা মাটির সাথে মিশ্রিত করেন বিশেষ ধানের খড়ের ছাই, যাতে ফাটল না ধরে।
-
UNESCO একাধিকবার বাংলার টেরাকোটা মন্দিরকে World Heritage Recognition এর জন্য বিবেচনা করেছে।
টেরাকোটা শুধু নান্দনিক শিল্প নয়, এটি বাংলার অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং পরিবেশবান্ধব ভবিষ্যতের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। আগামীর দিনে যদি আমরা এই শিল্পকে সঠিকভাবে প্রচার করি, তবে বাংলার টেরাকোটা বিশ্বের অন্যতম প্রধান সাসটেইনেবল হ্যান্ডিক্রাফট হয়ে উঠবে।